দিনরাত্রি এক করে কুমোর পাড়ায় চলে মূর্তি তৈরীর কাজ, শিল্পীস্বত্তার জাগরণকালে এক অভাবনীয় সম্মেলনে এক নবরূপে হাজির রং মাটির পাঁচালী। শুভ নববর্ষের শুভকামনায় ১৪২৬ কে আলোকিত করে শিল্পভাবনায় সমৃদ্ধ মৃৎশিল্পে ভরা কুমারপাড়ার অলিগলি।
নববর্ষের নবদিগন্তের আলোয় ভরা চিরাচরিত ব্যস্ততার ছবি প্রজ্জ্বলিত এই কুমোরটুলির শিল্পিপাড়ায়।
পুজো ও কুমোরটুলি, দুইই বাঙালি জীবনের সঙ্গে মিশে রয়েছে বহুযুগ ধরে, এই কুমোরদের পাড়ায় ঢুকলেই পাওয়া যায় ভেজামাটির গন্ধ, তাদের শিল্পভাবনার অভিনবত্বের ছোয়া রয়েছে প্রতিটি পদক্ষেপে। তাই এই রং মাটির পাঁচালী এক আধুনিক মেলবন্ধন, মানুষের এই ভগবান তৈরীর কারখানায় এক সাবেকি ঘরানার আচ্ছাস।
শৈল্পিক মনুষ্যত্বকে বিশেষায়িত করতে এই প্রয়াস সত্যিই মূল্যহীন। সাংস্কৃতিক ও আবর্তনশীল এই ধারাবাহিকতাকে সম্মান জানাতে এই উদ্যোগ সফল।
তাই উত্তর কলকাতার পটুয়াপাড়া শুধুমাত্র মৃৎশিল্পীদের বসতি হিসাবেই বিখ্যাত তাই নয়, তাদের অসামান্য কীর্তির সাক্ষী এই পাড়ার সমস্ত অলিগলি। আজ তাদের শৈল্পিককর্মের আরও এক নবারুণ আলোকে অভিজ্ঞ হয়ে নিজেই ধন্য আমি।
এ এক অন্তরালে থাকার কাহিনী!!
প্রতিমশিল্পীদের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের ইতিহাস আমাদের সকলেরই অজানা। তবে আজ এই কুমোরটুলিকে সেজে উঠতে দেখে সত্যিই ভালো লাগছে যে দেশে এখনও শিল্পীমর্যাদা বিরাজমান তাদের নিখুঁত মূ্ল্যাতীত কর্মশিল্প সত্যিই অতুলনীয়, কুমোর পাড়ার ইতিহাস আমাদের অনেকের কাছেই অজানা বটে, তবে তাদের কীর্তি আমাদের মুগ্ধ করে, তাই এই নববর্ষের শুভদিনে তাদের কর্মের সাক্ষী থাকতে পেরে আমি গর্বিত প্রায়।
শুভ নববর্ষ।
১লা বৈশাখ, ১৪২৬।